সুগারের মাত্রা কত
হলে বুঝবেন ডায়াবেটিস
ডায়াবেটিস রোগটি এখন
আতঙ্ক হয়ে দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে ৪০ পেরুলেই যে কারো এই রোগে পেয়ে বসতে পারে। তাই
নিয়মিত পরীক্ষা করা উচিত।
রক্তে চিনির মাত্রা পরিমাপ করে ডায়াবেটিস শনাক্ত করা যায়। ল্যাবরেটরিতে রক্ত পরীক্ষা করে ও ঘরে বসে গ্লুকোমিটার ব্যবহার করে নির্ণয় করা যায়।
রাতে স্বাভাবিক খাবার খেয়ে সকালে খালি পেটে রক্তে চিনির মাত্রা ৫.৮ মিলিমোলের চেয়ে কম থাকলে ডায়াবেটিস নেই বলে ধরে নেয়া যায়।
যদি চিনির মাত্রা ৫.৮ এর বেশি; কিন্তু ৭.৮ মিলিমোলের কম হয়, তবে ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি আছে বা বর্ডার লাইন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত বলে ধরা যেতে পারে।
যদি চিনির মাত্রা ৭.৮ মিলিমোলের বেশি হয়, তবে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত বলে মনে করা যায়।
তবে শুধু খালিপেটে পরীক্ষাটিই ডায়াবেটিস নির্ণয়ের জন্য যথেষ্ট নয়। খালিপেটে নির্ণয়ের পর ৭৫ গ্রাম গ্লুকোজ পানিতে গুলে খেয়ে দুই ঘণ্টা পর রক্তে আবার চিনির মাত্রা পরীক্ষা করা দরকার। এ ক্ষেত্রে যদি চিনির মাত্রা ৭.৮ মিলিমোল বা তার থেকে কম হয়, তবে ডায়াবেটিস নেই। যদি ৭.৮ এর বেশি, কিন্তু ১১ মিলিমোল বা তার চেয়ে কম হয়, তবে বর্ডার লাইন ডায়াবেটিস বলে ধরে নেয়া যায়। আর যদি চিনির মাত্রা ১১ মিলিমোলের বেশি হয়, তবে ডায়াবেটিস আক্রান্ত বলে ধরে নিতে হয়।
রক্তে চিনির মাত্রা পরিমাপ করে ডায়াবেটিস শনাক্ত করা যায়। ল্যাবরেটরিতে রক্ত পরীক্ষা করে ও ঘরে বসে গ্লুকোমিটার ব্যবহার করে নির্ণয় করা যায়।
রাতে স্বাভাবিক খাবার খেয়ে সকালে খালি পেটে রক্তে চিনির মাত্রা ৫.৮ মিলিমোলের চেয়ে কম থাকলে ডায়াবেটিস নেই বলে ধরে নেয়া যায়।
যদি চিনির মাত্রা ৫.৮ এর বেশি; কিন্তু ৭.৮ মিলিমোলের কম হয়, তবে ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি আছে বা বর্ডার লাইন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত বলে ধরা যেতে পারে।
যদি চিনির মাত্রা ৭.৮ মিলিমোলের বেশি হয়, তবে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত বলে মনে করা যায়।
তবে শুধু খালিপেটে পরীক্ষাটিই ডায়াবেটিস নির্ণয়ের জন্য যথেষ্ট নয়। খালিপেটে নির্ণয়ের পর ৭৫ গ্রাম গ্লুকোজ পানিতে গুলে খেয়ে দুই ঘণ্টা পর রক্তে আবার চিনির মাত্রা পরীক্ষা করা দরকার। এ ক্ষেত্রে যদি চিনির মাত্রা ৭.৮ মিলিমোল বা তার থেকে কম হয়, তবে ডায়াবেটিস নেই। যদি ৭.৮ এর বেশি, কিন্তু ১১ মিলিমোল বা তার চেয়ে কম হয়, তবে বর্ডার লাইন ডায়াবেটিস বলে ধরে নেয়া যায়। আর যদি চিনির মাত্রা ১১ মিলিমোলের বেশি হয়, তবে ডায়াবেটিস আক্রান্ত বলে ধরে নিতে হয়।
উৎস: দৈনিক সিলেট
১২/১১/২০১৪
ডায়াবেটিস অসংক্রামক
একটি রোগ
অধ্যাপক ডাঃ এম এ জলিল
আনসারী:
অসংক্রামক রোগ কোন জীবানু দ্বারা বিস্তার লাভ করে না। এন্টিবায়োটিক, টিকা সহ চিকিৎসাবিজ্ঞানের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নানাবিধ উন্নতির ফলে জীবানুবাহিত সংক্রামক রোগ অনেকটা দমন করা গেছে। আজকাল ডায়াবেটিস, হাইপারটেনসন ,হার্ট এটাক, ব্রেন ষ্ট্রোক, অতিরিক্ত ওজন , কিডনী ফেইলার, ক্যান্সার ইত্যাদী অসংক্রামক রোগের প্রধান্য সারা দুনিয়াব্যাপী। এদের মধ্যে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা পৃথিবীর সবদেশের সাথে সাথে আমাদেও দেশেও দিনদিন বেড়েই যাচ্ছে । প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী আমাদের দেশে প্রায় ৭০/৮০ লক্ষ ডায়াবেটিস রোগী রয়েছে। এদের সবারই যে রোগ নির্ণিত হয়েছে এমন নয়। আনুমানিক ৫০% লোক জানে না যে তাদের ডায়াবেটিস হয়েছে। যে ৩০/৪০ লক্ষ রোগী কোন না কোনভাবে চিকিৎসার আওতায় এসেছেন তাদের চিকিৎসা কেমন হচ্ছে বা পরিনতি কি হতে যাচ্ছে তা অনুমান করা যায়। ডায়াবেটিস চিকিৎসার একটি অতি গুরূত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য হোলো চিকিৎসার মাধ্যমে ডায়াবেটিসসংক্রান্ত দীর্ঘমেয়াদী শারীরিক জটিলতা হতে না দেয়া। চিকিৎসা যথাযথ না হলে কয়েক বৎসরের মধ্যেই কিডনী ফেইলর, দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া, হাতপা জ্বালাপোড়া, পায়ের বোধশক্তি কমে গিয়ে ক্রমান্বয়ে ঘা হওয়া, হার্টএটাক ও ষ্ট্রোকসহ নানাবিধ জটিলতায় জীবনের মান ক্রমাগত কমে যেতে থাকে। এতে রোগীর ব্যক্তিগত কষ্ট ছাড়াও পরিবার ও রাষ্ট্রের শ্রমশক্তি ও অর্থের উপড় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ চাপ তৈরী হয়। কিভাবে এসব প্রতিহত করা যায় বা কমানো যায় তা বিবেচনায় রেখেই ডায়াবেটিক রোগীর চিকিৎসার টার্গেট ঠিক করা হয়। ডায়াবেটিস রোগ নিয়ে যে সকল দেশী ও আন্তর্জাতিক সংস্থা রয়েছে গবেষনার আলোকে তারা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন যে রোগ ানর্ণয়ের পর থেকেই রোগীর রক্তের গ্লুকোজ ৪ থেকে ১০ মিলিমোল ( ৭০ থেকে ১৮০ মিলিগ্রাম%) এর মধ্যে রাখা বাঞ্ছনীয় । ডায়াবেটিস ভালভাবে নিয়ন্ত্রনে থাকলে ঐন অ১প নামক পরীক্ষার ফল হবে ৭ এর নীচে। অনেক ডায়াবেটিক রোগীই জানেন যে তাদের রক্তে ঐন অ১প এর মাত্রা কত- হয়ত অনেক বেশী। অথচ গবেষনায় সন্দেহাতীতভাবে প্রমানিত হয়েছে যে ঐন অ১প এর মাত্রা বাড়ার সাথে সাথে ডায়াবেটিস রোগীদের সবধরনের জটিলতার হার দ্রুত বাড়তে থাকে। উদ্বেগের বিষয় হোল এই যে সাম্প্রতিক গবেষনায় দেখা যায় যে প্রায় ৩০-৫০% ডায়াবেটিক রোগীই রোগ নির্ণয় হবার পর প্রথাগত চিকিৎসাসত্বেও রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা যথাযথভাবে নিয়ন্ত্রন করতে পারছেন না। অর্থাৎ বেশীরভাগ সময়ই রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বেশী থাকছে।এর কারন যাই হোক না কেন অনিয়ন্ত্রিত বা আংশিক চিকিৎসার ফলে ডায়াবেটিস চিকিৎসার পরিপূর্ণ সুফল থেকে রোগীরা বঞ্চিত হচ্ছেন। ফলে ডায়াবেটিসজনিত কিডনী রোগ, চক্ষুসমস্যা, হৃদরোগ, ষ্ট্রোক ইত্যাদীসহ নানাজটিলতা এড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। পৃথিবীর অধিকাংশ দেশেই এ চিত্র কমবেশী বিদ্যমান। সহজেই অনুমেয় যে আমাদের দেশেও ডায়াবেটিক রোগীদের অর্ধেকেরও বেশী চিকিৎসার লক্ষ্যমাত্রা থেকে অনেক দুরেই থাকছেন। কিভাবে ডায়াবেটিস চিকিৎসায় কাঙ্খিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা যায় এ নিয়ে গবেষনা হচ্ছে। চিকিৎসকের পাশাপাশি রোগীদের ভ’মিকাও স্বীকৃত। কি কারনে কোন রোগী ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রন করতে পারছে না তা নির্ণয় করে চিকিৎসাদিলেই ভাল ফল পাওয়া যাবে। এ নিয়ে আরও গবেষনার প্রয়োজন রয়েছে। রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা ঠিক রাখার পাশাপাশি রোগীর ব্লাড প্রেশার, রক্তে কোলেষ্টারলের মাত্রা, দেহের ওজন ইত্যাদীর চিকিৎসাও অতীব প্রয়োজন। রোগীরা যদি চিকিৎসার উল্লিখিত লক্ষ্যে উদ্বুদ্ধ হয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ সঠিকভাবে মেনে চলেন তবেই ডায়াবেটিস চিকিৎসার এই লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হবে।
----------------
অধ্যাপক ডাঃ এম এ জলিল আনসারী
এমবিবিএস, এমসিপিএস(মেডিসিন), এমডি(এন্ডোক্রাইনোলজী)
বিভাগীয় প্রধান, ডায়াবেটিস ও হরমোনজনিত রোগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ, যোগাযোগ -৮৩২২৩৪৮-৫২, ০১৯৭৯৬১০১৭১
অসংক্রামক রোগ কোন জীবানু দ্বারা বিস্তার লাভ করে না। এন্টিবায়োটিক, টিকা সহ চিকিৎসাবিজ্ঞানের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নানাবিধ উন্নতির ফলে জীবানুবাহিত সংক্রামক রোগ অনেকটা দমন করা গেছে। আজকাল ডায়াবেটিস, হাইপারটেনসন ,হার্ট এটাক, ব্রেন ষ্ট্রোক, অতিরিক্ত ওজন , কিডনী ফেইলার, ক্যান্সার ইত্যাদী অসংক্রামক রোগের প্রধান্য সারা দুনিয়াব্যাপী। এদের মধ্যে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা পৃথিবীর সবদেশের সাথে সাথে আমাদেও দেশেও দিনদিন বেড়েই যাচ্ছে । প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী আমাদের দেশে প্রায় ৭০/৮০ লক্ষ ডায়াবেটিস রোগী রয়েছে। এদের সবারই যে রোগ নির্ণিত হয়েছে এমন নয়। আনুমানিক ৫০% লোক জানে না যে তাদের ডায়াবেটিস হয়েছে। যে ৩০/৪০ লক্ষ রোগী কোন না কোনভাবে চিকিৎসার আওতায় এসেছেন তাদের চিকিৎসা কেমন হচ্ছে বা পরিনতি কি হতে যাচ্ছে তা অনুমান করা যায়। ডায়াবেটিস চিকিৎসার একটি অতি গুরূত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য হোলো চিকিৎসার মাধ্যমে ডায়াবেটিসসংক্রান্ত দীর্ঘমেয়াদী শারীরিক জটিলতা হতে না দেয়া। চিকিৎসা যথাযথ না হলে কয়েক বৎসরের মধ্যেই কিডনী ফেইলর, দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া, হাতপা জ্বালাপোড়া, পায়ের বোধশক্তি কমে গিয়ে ক্রমান্বয়ে ঘা হওয়া, হার্টএটাক ও ষ্ট্রোকসহ নানাবিধ জটিলতায় জীবনের মান ক্রমাগত কমে যেতে থাকে। এতে রোগীর ব্যক্তিগত কষ্ট ছাড়াও পরিবার ও রাষ্ট্রের শ্রমশক্তি ও অর্থের উপড় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ চাপ তৈরী হয়। কিভাবে এসব প্রতিহত করা যায় বা কমানো যায় তা বিবেচনায় রেখেই ডায়াবেটিক রোগীর চিকিৎসার টার্গেট ঠিক করা হয়। ডায়াবেটিস রোগ নিয়ে যে সকল দেশী ও আন্তর্জাতিক সংস্থা রয়েছে গবেষনার আলোকে তারা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন যে রোগ ানর্ণয়ের পর থেকেই রোগীর রক্তের গ্লুকোজ ৪ থেকে ১০ মিলিমোল ( ৭০ থেকে ১৮০ মিলিগ্রাম%) এর মধ্যে রাখা বাঞ্ছনীয় । ডায়াবেটিস ভালভাবে নিয়ন্ত্রনে থাকলে ঐন অ১প নামক পরীক্ষার ফল হবে ৭ এর নীচে। অনেক ডায়াবেটিক রোগীই জানেন যে তাদের রক্তে ঐন অ১প এর মাত্রা কত- হয়ত অনেক বেশী। অথচ গবেষনায় সন্দেহাতীতভাবে প্রমানিত হয়েছে যে ঐন অ১প এর মাত্রা বাড়ার সাথে সাথে ডায়াবেটিস রোগীদের সবধরনের জটিলতার হার দ্রুত বাড়তে থাকে। উদ্বেগের বিষয় হোল এই যে সাম্প্রতিক গবেষনায় দেখা যায় যে প্রায় ৩০-৫০% ডায়াবেটিক রোগীই রোগ নির্ণয় হবার পর প্রথাগত চিকিৎসাসত্বেও রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা যথাযথভাবে নিয়ন্ত্রন করতে পারছেন না। অর্থাৎ বেশীরভাগ সময়ই রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বেশী থাকছে।এর কারন যাই হোক না কেন অনিয়ন্ত্রিত বা আংশিক চিকিৎসার ফলে ডায়াবেটিস চিকিৎসার পরিপূর্ণ সুফল থেকে রোগীরা বঞ্চিত হচ্ছেন। ফলে ডায়াবেটিসজনিত কিডনী রোগ, চক্ষুসমস্যা, হৃদরোগ, ষ্ট্রোক ইত্যাদীসহ নানাজটিলতা এড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। পৃথিবীর অধিকাংশ দেশেই এ চিত্র কমবেশী বিদ্যমান। সহজেই অনুমেয় যে আমাদের দেশেও ডায়াবেটিক রোগীদের অর্ধেকেরও বেশী চিকিৎসার লক্ষ্যমাত্রা থেকে অনেক দুরেই থাকছেন। কিভাবে ডায়াবেটিস চিকিৎসায় কাঙ্খিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা যায় এ নিয়ে গবেষনা হচ্ছে। চিকিৎসকের পাশাপাশি রোগীদের ভ’মিকাও স্বীকৃত। কি কারনে কোন রোগী ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রন করতে পারছে না তা নির্ণয় করে চিকিৎসাদিলেই ভাল ফল পাওয়া যাবে। এ নিয়ে আরও গবেষনার প্রয়োজন রয়েছে। রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা ঠিক রাখার পাশাপাশি রোগীর ব্লাড প্রেশার, রক্তে কোলেষ্টারলের মাত্রা, দেহের ওজন ইত্যাদীর চিকিৎসাও অতীব প্রয়োজন। রোগীরা যদি চিকিৎসার উল্লিখিত লক্ষ্যে উদ্বুদ্ধ হয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ সঠিকভাবে মেনে চলেন তবেই ডায়াবেটিস চিকিৎসার এই লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হবে।
----------------
অধ্যাপক ডাঃ এম এ জলিল আনসারী
এমবিবিএস, এমসিপিএস(মেডিসিন), এমডি(এন্ডোক্রাইনোলজী)
বিভাগীয় প্রধান, ডায়াবেটিস ও হরমোনজনিত রোগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ, যোগাযোগ -৮৩২২৩৪৮-৫২, ০১৯৭৯৬১০১৭১
উৎস: দৈনিক সিলেট ১২/১১/২০১৪
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন