Bismillah

Bismillah

মঙ্গলবার, ৩ জুন, ২০১৪

জেনে নিন মিসওয়াকের ধর্মীয় এবং বৈজ্ঞানিক গুরুত্ব ও গুণাগুণ


জেনে নিন মিসওয়াকের ধর্মীয় এবং বৈজ্ঞানিক গুরুত্ব গুণাগুণ

==========================================
মিসওয়াক করা সুন্নত। উলামায়ে কেরামের মতে, মেসওয়াকের অভ্যাস রার মধ্যে যে সকল উপকার রয়েছে তারমধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো,’ মৃত্যুর সময় কালেমা শাহাদাত নসীব হয়।
হযরত আবু দারদা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, তোমরা মেসওয়াক করা থেকে উদাসীন হয়ো না; কেননা তাহাতে বহু গুণ রয়েছে। তন্মধ্যে শ্রেষ্ঠ গুণগুলি হচ্ছে,
০১। এর দ্বারা আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি অর্জন হয়।
০২। নামাজের আগে মেসওয়াক করলে নামাজের ফজিলত ৭৭ গুণ বৃদ্ধি করে দেয় হয়।
০৩। সচ্ছলতা বয়ে আনে।
০৪। মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়
০৫। দাঁতের মাড়ি শক্ত হয়
০৬। মাথা ব্যথা দূর হয়
০৭। দাঁতের পীড়া-ব্যথা দূর হয়।
০৮। ফেরেশতারা নূরানী চেহারায় মুছাফাহা (হ্যান্ডশেক) করে।
০৯। দাঁতের শুভ্রতা উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে দেয়।
১০। মস্তিস্ক ঠান্ডা থাকে।
১১। দাঁত শক্ত থাকে।
১২। দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি পায়।
১৩। পাকস্থলী কর্মক্ষম থাকে।
১৪। শরীরের শক্তি বৃদ্ধি পায়।
১৫। বাকশক্তি সুন্দর আকর্ষণীয় হয়।
১৬। স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে।
১৭। অন্তর পরিচ্ছন্ন হয়।
১৮। নেকী বৃদ্ধি পায়।
১৯। মেসওয়াককারী ব্যক্তি বিজলীর ন্যায় পুলছিরাত পার হয়ে যাবে।
২০। শরীর ইবাদতের উপযোগী হয়।
২১। শরীরের অতীমাত্রার তাপ দূর হয়ে যায়।
২২। সর্বপ্রকার ব্যাথা দূর হয়।
২৩। পিঠ মজবুত হয়।
২৪। জ্বর থাকলে তা কমে যায়।
২৫। পাকস্থলি ঠিক থাকে।
২৬। দাঁতের মাড়ি শক্ত হয়।
২৭। কন্ঠ সুন্দর হয়।
২৮। জিহ্বা তেজস্বী হয়।
২৯। শরীরের অতিরিক্ত আদ্রতা দূর হয়।
৩০। জান্নাতের দরজা সমূহ উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
৩১। স্ত্রী স্বমীর প্রতি, স্বমী স্ত্রীর প্রতি সন্তুষ্ট থাকে।
৩২। সন্তানাদী নেক শালীন হয়।
৩৩। ফেরেস্তাগণ মেসওয়াককারীকে দেখে বলতে থাকে ব্যক্তি নবীগণের অনুসারী।
৩৪। জাহান্নামের দরজা সমূহ তার জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়।
৩৫। মৃত্যুর সময় ফেরেশতারা এমন আকৃতিতে আসে যেমন আকৃতিতে নবীগনের কাছে আসতেন।
৩৬। আল্লামা জালাল উদ্দিন সুয়ূতি (রাহঃ) শরহুচ্ছুদুর নামক কিতাবে উল্যে­ করেছেন। মেসওয়াক করার বরকতে মৃত্যুর সময় আত্মা সহজে বের হয়। এর প্রমাণ হলো, রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াছাল্লাম মুমূর্ষ অবস্থায় মেসওয়াক.করেছিলেন।
৩৭। ভাষা সুন্দর হয়।
৩৮। মৃত্যুর সময় কালিমায়ে শাহাদাত নছীব হয়।
৩৯। চুলের গোড়া শক্ত হয়।
৪০। মুখের জড়তা, তোতলামী, বাকরুদ্ধতা দূর হয়।
৪১। যৌন শক্তি বৃদ্ধি পায়।
৪২। হযরত আলী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, মেসওয়াক ধীশক্তি বাড়ায়।
৪৩। কাশি দূর করে।
৪৪। যার মাথায় বা শরীরে পশম নেই মেসওয়াক করার দ্বারা তার শরীরে মাথায় চুল গজায়।
৪৫। শরীরের রং উজ্জ্বল আকর্ষণীয় হয়।
৪৬। শয়তানের ওয়াছওয়াছা দূর হয়।
৪৭। সহবাসে অধিক শক্তি লাভ হয়।
৪৮। চেহারা সুন্দর হয়।
৪৯। নিয়মিত দাঁতের হলুদ বর্ণ দূর করে, দাঁত হয় ধবধবে সাদা, উজ্জ্বল।
৫০। চোখের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি করে।
৫১। জান্নাতে মর্যাদা বৃদ্ধি পায়

ইমাম তিরমিজি ইমাম হাকেম বলেছেন, মেসওয়াক করার সময় একেবারে প্রথম বারের লালা গিলে ফেলবে। কেননা এতে কুষ্ঠরোগ থেকে বাঁচা যায়। এবং মৃত্যু ছাড়া সকল রোগ থেকেও বাঁচা যায়। তবে প্রথম বারের পর আর গিলবে না। কেননা এতে স্মৃতিশক্তি কমে যায়

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

প্রিন্ট পি ডি এফ

Print Friendly Version of this pagePrint Get a PDF version of this webpagePDF
“ডাক তোমার প্রভূর পথে প্রজ্ঞা এবং সদুপদেশের মাধ্যমে এবং তাদের সাথে বিতর্ক কর সর্বত্তোম পন্থায়” (সূরা নাহলঃ১২৫)