#যাকাতের খাত ৮টি:
#এক. ফকির:
যাদের নিকট প্রয়োজনের অর্ধেকও নেই। বছরের ছয় মাস যে নিজের ও পরিবারের খরচের বহনে অক্ষম সেই ফকির। তাকে যাকাত দেয়া যাবে।
#দুই. মিসকিন:
যাদের নিকট প্রয়োজনের অর্ধেক বা তার চেয়ে অধিক রয়েছে, কিন্তু পূর্ণ বছরের খোরাক নেই, তাদেরকে যাকাত থেকে অবশিষ্ট বছরের খাদ্য দেয়া যাবে। তবে যদি কোন ব্যক্তির নিকট নগদ অর্থ নেই, কিন্তু তার অন্য উৎস, চাকুরী বা সামর্থ রয়েছে, যা তার প্রয়োজন পূরণে যথেষ্ট, তাকে যাকাতের অর্থ দেয়া যাবে না।
কারণ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “ধনী ও কর্মঠ ব্যক্তিদের জন্য যাকাতে কোন অংশ নেই”। (আবু দাউদ-১৬৩৩, নাসাঈ-২৫৯৮)।
#তিন. যাকাত আদায়ে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গ:
যাদেরকে সরকার যাকাত উত্তোলন, যাকাত বিতরণ ও যাকাত সংরক্ষণের জন্য নিয়োগ করে থাকে, তাদেরকে তাদের কর্ম হিসাবে যাকাত থেকে পারিশ্রমিক দেয়া যাবে, যদিও তারা ধনী হয়।
#চার. ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট করার জন্য বিশেষ ব্যক্তিবর্গ:
যারা কোনো সম্প্রদায়ের সরদার, যাদের ঈমান দূর্বল, তাদের ঈমানের দৃঢ়তা বৃদ্ধির জন্য যাকাতের মাল থেকে তাদেরকে দেয়া যাবে, যেন তারা ইসলামের প্রতি আহ্বানকারী ও আদর্শ ব্যক্তিরূপে গড়ে উঠে।
#পাঁচ. গোলাম আযাদ ও মুসলিম বন্দীদের মুক্ত করা:
অর্থাৎ যাকাতের অর্থে গোলাম খরিদ করা ও আযাদ করা, চুক্তিবদ্ধদের মুক্ত হতে সাহায্য করা এবং মুসলিম বন্দীদের মুক্ত করার জন্য যাকাতের অর্থ ব্যয় করা যাবে।
#ছয়. ঋণগ্রস্ত:
যাদের ঋণ পরিশোধ করার সামার্থ নেই, তাদের ঋণ পরিমাণ অর্থ বা তার চেয়ে কম/বেশী যাকাত থেকে দেয়া যাবে, যদিও তাদের খাদ্যের অভাব না থাকে। ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি যদি এমন হয়, যার নিজের ও পরিবারের খাদ্যের ব্যবস্থা আছে, কিন্তু ঋণ পরিশোধ করার সামর্থ তার নেই, তাকেও ঋণ পরিমাণ যাকাত দেয়া যাবে।
#সাত. যারা আল্লাহর রাস্তায় আছে:
অর্থাৎ আল্লাহর রাস্তায় জিহাদের জন্য যাকাত দেয়া যাবে। অতঃএব মুজাহিদদেরকে তাদের প্রয়োজন মোতাবেক যাকাতের অর্থ দেয়া জায়েয। যাকাতের অর্থ দিয়ে জিহাদের অস্ত্র খরিদ করাও বৈধ।
#আট. মুসাফির:
অর্থাৎ এমন মুসাফির যার পথ খরচ শেষ হয়ে গেছে, তাকে বাড়িতে পৌঁছার জন্য যাকাত থেকে অর্থ দেয়া যাবে।
এরা সবাই যাকাতের খাত ও হকদার। আল্লাহ স্বয়ং কুরআনে এদের উল্লেখ করেছেন। এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্ধারিত ফরয, যা তিনি স্বীয় জ্ঞান ও প্রজ্ঞা থেকে তার বান্দাদের উপর ফরয করেছেন।
এ খাতসমূহ ব্যতীত অন্য কোন খাতে যাকাত ব্যয় করা যাবে না, যেমন, মসজিদ নির্মাণ অথবা রাস্তাঘাট তৈরী/মেরামত; কেননা আল্লাহ্ তা'আলা যাকাতের খাত সুনির্দিষ্ট করে দিয়েছেন।
(শাইখ মুহাম্মাদ ইবনে সলেহ আল উসাইমিন র. সিয়াম, তারাবীহ ও যাকাত বিষয়ে কয়েকটি অধ্যায়)।
#এক. ফকির:
যাদের নিকট প্রয়োজনের অর্ধেকও নেই। বছরের ছয় মাস যে নিজের ও পরিবারের খরচের বহনে অক্ষম সেই ফকির। তাকে যাকাত দেয়া যাবে।
#দুই. মিসকিন:
যাদের নিকট প্রয়োজনের অর্ধেক বা তার চেয়ে অধিক রয়েছে, কিন্তু পূর্ণ বছরের খোরাক নেই, তাদেরকে যাকাত থেকে অবশিষ্ট বছরের খাদ্য দেয়া যাবে। তবে যদি কোন ব্যক্তির নিকট নগদ অর্থ নেই, কিন্তু তার অন্য উৎস, চাকুরী বা সামর্থ রয়েছে, যা তার প্রয়োজন পূরণে যথেষ্ট, তাকে যাকাতের অর্থ দেয়া যাবে না।
কারণ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “ধনী ও কর্মঠ ব্যক্তিদের জন্য যাকাতে কোন অংশ নেই”। (আবু দাউদ-১৬৩৩, নাসাঈ-২৫৯৮)।
#তিন. যাকাত আদায়ে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গ:
যাদেরকে সরকার যাকাত উত্তোলন, যাকাত বিতরণ ও যাকাত সংরক্ষণের জন্য নিয়োগ করে থাকে, তাদেরকে তাদের কর্ম হিসাবে যাকাত থেকে পারিশ্রমিক দেয়া যাবে, যদিও তারা ধনী হয়।
#চার. ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট করার জন্য বিশেষ ব্যক্তিবর্গ:
যারা কোনো সম্প্রদায়ের সরদার, যাদের ঈমান দূর্বল, তাদের ঈমানের দৃঢ়তা বৃদ্ধির জন্য যাকাতের মাল থেকে তাদেরকে দেয়া যাবে, যেন তারা ইসলামের প্রতি আহ্বানকারী ও আদর্শ ব্যক্তিরূপে গড়ে উঠে।
#পাঁচ. গোলাম আযাদ ও মুসলিম বন্দীদের মুক্ত করা:
অর্থাৎ যাকাতের অর্থে গোলাম খরিদ করা ও আযাদ করা, চুক্তিবদ্ধদের মুক্ত হতে সাহায্য করা এবং মুসলিম বন্দীদের মুক্ত করার জন্য যাকাতের অর্থ ব্যয় করা যাবে।
#ছয়. ঋণগ্রস্ত:
যাদের ঋণ পরিশোধ করার সামার্থ নেই, তাদের ঋণ পরিমাণ অর্থ বা তার চেয়ে কম/বেশী যাকাত থেকে দেয়া যাবে, যদিও তাদের খাদ্যের অভাব না থাকে। ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি যদি এমন হয়, যার নিজের ও পরিবারের খাদ্যের ব্যবস্থা আছে, কিন্তু ঋণ পরিশোধ করার সামর্থ তার নেই, তাকেও ঋণ পরিমাণ যাকাত দেয়া যাবে।
#সাত. যারা আল্লাহর রাস্তায় আছে:
অর্থাৎ আল্লাহর রাস্তায় জিহাদের জন্য যাকাত দেয়া যাবে। অতঃএব মুজাহিদদেরকে তাদের প্রয়োজন মোতাবেক যাকাতের অর্থ দেয়া জায়েয। যাকাতের অর্থ দিয়ে জিহাদের অস্ত্র খরিদ করাও বৈধ।
#আট. মুসাফির:
অর্থাৎ এমন মুসাফির যার পথ খরচ শেষ হয়ে গেছে, তাকে বাড়িতে পৌঁছার জন্য যাকাত থেকে অর্থ দেয়া যাবে।
এরা সবাই যাকাতের খাত ও হকদার। আল্লাহ স্বয়ং কুরআনে এদের উল্লেখ করেছেন। এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্ধারিত ফরয, যা তিনি স্বীয় জ্ঞান ও প্রজ্ঞা থেকে তার বান্দাদের উপর ফরয করেছেন।
এ খাতসমূহ ব্যতীত অন্য কোন খাতে যাকাত ব্যয় করা যাবে না, যেমন, মসজিদ নির্মাণ অথবা রাস্তাঘাট তৈরী/মেরামত; কেননা আল্লাহ্ তা'আলা যাকাতের খাত সুনির্দিষ্ট করে দিয়েছেন।
(শাইখ মুহাম্মাদ ইবনে সলেহ আল উসাইমিন র. সিয়াম, তারাবীহ ও যাকাত বিষয়ে কয়েকটি অধ্যায়)।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন