Bismillah

Bismillah

বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ, ২০১৪

ফলের পুষ্টিগুণ কমলা, আপেল, পেঁপে, পেয়ারা, কলা আনারস ও আমলকী ইত্যাদি

ফলের পুষ্টিগুণ কমলা, আপেল, পেঁপে, পেয়ারা, কলা আনারস ও আমলকী ইত্যাদি


কত খাবারই তো আমরা খাচ্ছি  কিন্ত আমরা শুধু আমাদের প্রয়োজন টুকু মিটাচ্ছি তাই জানতে পারি না এর গুণাগুণ ।
তাই একটু অসুস্থ হলেই ডাক্তারের কাছে ছুটু- ছুটি  করি । আল্লাহ্‌ তায়ালার দেয়া প্রতিটা খাবারের মধ্যেই রয়েছে
অসংখ্য পুষ্টি গুণ ,আমরা যদি এ পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানার চেষ্টা করি তাহলে দেখব এসব খাবারের মধ্যেই রয়েছে সুস্থ
থাকার অসংখ্য টিপস ।আসুন,  আমরা  সংক্ষেপে  কিছু কিছু খাবারের পুষ্টি গুণ সম্পর্কে  জানি:
  • কমলার উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ
  • ০ দৈনিক আমাদের যতটুকু ভিটামিন ‘সি’ প্রয়োজন তার প্রায় সবটাই ১টি কমলা থেকে সরবরাহ হতে পারে।
  • ০ কমলাতে উপস্থিত এন্টি অক্সিডেন্ট ফ্রি র্যাডিকেল ড্যামেজ করে ফলে ত্বকে সজীবতা বজায় থাকে।
  • এতে উপস্থিত এন্টি অক্সিডেন্ট বিভিন্ন ইনফেকশন প্রতিরোধে সহায়তা করে।
  • ০ কমলাতে উপস্থিত বিটা ক্যারোটিন সেল ড্যামেজ প্রতিরোধে সহায়তা করে।
  • ০ এতে উপস্থিত ক্যালসিয়াম, যা দাঁত ও হাঁড়ের গঠনে সাহায্য করে।
  • ০ এতে ম্যাগনেসিয়াম থাকার কারণে বস্নাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
  • ০ এতে উপস্থিত পটাশিয়াম ইকেট্রোলাইট ব্যালেন্স বজায় রাখে এবং কার্ডিওভাস্কুলার সিস্টেম ভালো রাখতে সহায়তা করে।
  • ০ গবেষণায় জানা গিয়েছে যে, কমলাতে উপস্থিত লিমিণয়েড, মুখ,ত্বক, ফুসফুস, পাকস্থলী কোমল ও স্তন ক্যান্সার
  • প্রতিরোধে সহায়তা করে থাকে।
  • ০ ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সহায়তা করে।
  • ০ এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে ওজন কমাতেও সহায়তা করে।
  • ০ ১০০ গ্রাম কমলাতে আছে: ভিটামিনি বি-০.৮ মি.গ্রাম, ভিটামিন সি-৪৯ মি:গ্রাম, ক্যালসিয়াম-৩৩ মি:গ্রাম, পটাসিয়াম-৩০০ মি:গ্রাম, ফসফরাস-২৩ মি:গ্রাম।
—————————***———————-
আপেলর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানুন
  • * আপেলে পর্যাপ্ত boron আছে, যা হাড়কে শক্ত রাখতে সাহায্য করে ও ব্রেইনের স্বাস্থ্য ঠিক রাখে
  • * আপেলে আছে flavonoid, যা antioxidant, এটি রোগ প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধি করে, হার্টের অসুখ
  • ও ক্যান্সার হতে রক্ষা করে
  • * অন্যান্য ফলের মত আপেলের চিনি রক্তের চিনির মাত্র বাড়িয়ে দেয় না| ফলে diabetes এর রোগীরা নিশ্চিন্তে
  • পরিমানমত আপেল খেতে পারেন |
  • * আপেলে কোনো লবন নেই, তাই আপেল থেকে অতিরিক্ত লবন খাবার কোনো সম্ভাবনা নেই|
  • * আপেলে সামান্য ভিটামিন সিও আছে| তাই আপেল রোগ প্রতিরোধেও সাহায্য করে | তাছাড়া ভিটামিন সি
  • তাড়াতাড়ি রোগ সারাতে সাহায্য করে|
  • * আপেলের প্রচুর পানি আছে, তাই এটি পানিশুন্যতা দূর করে, তৃষ্ণা মেটায় ও শরীর ঠান্ডা করে|
  • * জ্বর হলে তা কমাতে সাহায্য করে, তাই জ্বর এর রোগীরা আপেল খেলে ভালো বোধ করেন|
  • * আপেলের সাথে মধু মিশিয়ে খেলে তা কফ দুর করে|
  • * ডায়রিয়া হলে তা সারাতে সাহায্য করে|
  • * মাসেল টোন করতে সাহায্য করে ও ওজন কমায়
  • * Gastric এর সমস্যা কমায়
  • ——————***———————-
পেঁপের রয়েছে নানা গুণ।
  • -একটি ফল পেঁপে, যা মিষ্টি হলেও ডায়াবেটিস রোগীরা খেতে পারেন।
  • -যাদের পেটে গোলমাল দেখা দেয়, তারা পেঁপে খেতে পারেন।
  • -ক্যালরির পরিমাণ বেশ কম থাকায় যারা মেদ সমস্যায় ভুগছেন তারা পেঁপে খেতে পারেন অনায়াসে।
  • -এই ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ ও সি আছে।
  • -চোখের সমস্যা বা সর্দিকাশির সমস্যা থাকলে পেঁপে খেতে পারেন, কাজে দেবে।
  • -যারা হজমের সমস্যায় ভোগেন তারা পেঁপে খেলে উপকার পাবেন। এই ফলে কোনো ক্ষতিকর উপাদান নেই।
  • -পেঁপেতে আছে পটাশিয়াম। তাই এই ফল রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
  • -পাশাপাশি হাইপারটেনশন কমায় অনেকখানি। শরীরে থাকা বিভিন্ন ক্ষতিকর কোলেস্টরলের মাত্রা কমিয়ে দেয় পেঁপে।
  • -নিয়মিত পেঁপে খেলে হূদযন্ত্রের নানা সমস্যা যেমন হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
  • -যাদের কানে ঘন ঘন ইনফেকশন হয় তারা পেঁপে খেয়ে দেখতে পারেন, উপকার পাবেন।
  • -পেঁপে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ ফল, তাই ত্বকের লাবণ্য ও উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে সাহায্য করে।
  • রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখে।
  • -অজীর্ণ, কৃমি সংক্রমণ, আলসার, ত্বকে ঘা, একজিমা, কিডনি সংক্রান্ত জটিলতা, ডিপথেরিয়া, আন্ত্রিক ও পাকস্থলীর
  • ক্যান্সার প্রভৃতি রোগ নিরাময়ে কাঁচা পেঁপের পেপেইন ব্যবহার করা হয়। পেঁপের আঠা ও বীজ ক্রিমি নাশক ও প্লীহা, যকৃতের জন্য উপকারী।
  • -এ ছাড়া পেঁপে আরো নানা গুণের অধিকারী।
———————***———————–
পেয়ারা রয়েছে নানা গুণ।
  • কাঁচা পেয়ারা হৃদ রোগের উপকার করে|
  • কাঁচা পেয়ারা লবন দিয়ে খান কাশের ভাল উপকার হবে|
  • কাঁচা পেয়ারা রক্ত বর্ধক|
  • পেয়ারা বাত পিত্ত কফ নাশক|
  • রীর ঠান্ডা রাখার জন্য কাঁচা পেয়ারা অত্যন্ত উপকারী
  •  যাদের হাতে পায়ে জ্বালা কাঁচা পেয়ারায় উপকার পাবেন|
  • পেয়ারা পাতা দাঁতের মাড়ি ব্যথায় উপকার|
  • তুলশি গিলই এবং পেয়ারা পাতা সেদ্ধজল জ্বরের জন্য অত্যন্ত উপকারী
  • কাঁচা পেয়ারা আনন্দ দায়ক|
  • নেশা মুক্তির জন্য কাঁচা পেয়ারার পাতা সেদ্ধ জল খাওয়ান|
  • শিকড়, গাছের বাকল, পাতা এবং অপরিপক্ক ফল কলেরা, আমাশয় ও অন্যান্য পেটের পীড়া নিরাময়ে ভাল কাজ করে।
  • ক্ষত বা ঘা-এ থেঁতলানো পাতার প্রলেপ দিলে উপকার পাওয়া যায়। পেয়ারার কচি পাতা চিবালে দাঁতের ব্যথা উপশম হয়।
——————–***——————
কলার পুষ্টিগুণ
  • ১. কলা পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি ফল।
  • ২. এতে শর্করা, আমিষ, ভিটামিন ও খনিজ লবণের সমন্বয় রয়েছে।
  • ৩. কলায় শর্করা, সামান্য আমিষ, কিঞ্চিত ফ্যাট, পর্যাপ্ত খনিজ লবণ ও যথেষ্ট আঁশ আছে। খনিজ লবনের মধ্য আছে
  • পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও লৌহ।
  • ৪. কলায় ভিটামিন এ, বি ও কিছু ভিটামিন-সি আছে।
  • ৫. একটি কলা প্রায় ১০০ক্যালরি শক্তির জোগান দেয়।
  • ৬. কলায় আছে সহজে হজমযোগ্য শর্করা, যা শরীরে দ্রুত শক্তি সরবরাহ করে ক্লান্তি দুর করতে সহায়ক।
  • ৭. কলা হজমে সাহায্য করে।
  • ৮.অ্যাসিডিটি বা গ্রাস্টিক আলসারের রোগীরা কলা খেতে পারেন উপকারী ভেবে।
  • ৯. পাকা নরম কলা অ্যাসিডিটি নিরাময়ে সক্ষম।
  • ১০. পাকস্থলীর আবরনীতে নরম কলার প্রলেপ আলসারের অস্বস্তি ওকমায়।
  • ১১. অ্যাসিডিটির জন্য বুক জ্বালা কমাতেও কলা সহায়ক।
  • ১২. কলা যেমন কোষ্টকাঠিন্য দুর করে,তেমনি পাতলা পায়খানাও
  • উপকারী।
  • ১৩. বাতের ব্যথার জন্য কলা উপকারী।
  • ১৪. কলা লৌহ রক্তের হিমোগ্লোবিন তৈরীতে কাজে লাগে। কলা তাই রক্তশূন্যতায় ও উপকারী।
  • ১৫. সবশেষে কলা রক্তচাপ কমাতে সহায়ক এবং স্ট্রোক প্রতিরোধে ও কার্যকরী
  • ১৬. কলার থোড় বা মোচা এবং শিকড় ডায়াবেটিস, আমাশয়, আলসার, পেটের পীড়া নিরাময়ে ব্যবহৃত হয়।
  • আনাজী কলা পেটের পীড়ায় আক্রান্ত রোগীর পথ্য হিসাবে ব্যবহৃত হয়। পাকা বীচিকলার বীজ কৃমিনাশক।
আনারসের পুষ্টিগুণ
আনারস বিশ্বের অন্যতম সেরা ফল। সাধারণত: আনারস খেলে যেসব উপকার পাওয়া যায় তা হল:
  • ১. গরম-ঠাণ্ডার জ্বর, জ্বর-জ্বর ভাব দূর করে এই ফল। এতে রয়েছে ব্যথা দূরকারী উপাদান। তাই শরীরের ব্যথা দূর করার জন্য এর অবদান গুরুত্বপূর্ণ।
  • ২. আনারস কৃমিনাশক। কৃমি দূর করার জন্য খালি পেটে (সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে) আনারস খাওয়া উচিত।
  • ৩. দেহে রক্ত জমাট বাঁধতে বাধা দেয় এই ফল। ফলে শিরা-ধমনির (রক্ত বাহী নালি) দেয়ালে রক্ত না জমার জন্য সারা শরীরে সঠিকভাবে রক্ত যেতে পারে। হৃদপিন্ড আমাদের শরীরে অক্সিজেনযুক্ত রক্ত সরবরাহ করে। আনারস রক্ত পরিষ্কার করে হৃদপিণ্ডকে কাজ করতে সাহায্য করে।
  • ৪. এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। জিহ্বা, তালু, দাঁত, মাড়ির যে কোনো অসুখের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে আনারস।
  • ৫. এতে রয়েছে খনিজ লবণ ম্যাঙ্গানিজ, যা দাঁত, হাড়, চুলকে করে শক্তিশালী। গবেষণা করে দেখা গেছে, নিয়মিত আনারস খান এমন ব্যক্তিদের ঠাণ্ডা লাগা, গলা ব্যথা, সাইনোসাইটিসজাতীয় অসুখগুলো কম হয়।
  • ৬. এতে রয়েছে প্রচুর ক্যালরি, যা আমাদের শক্তি জোগায়। প্রোটিন খাবার এ ফলটি ত্বকের মৃত কোষ দূর করে, ত্বককে কুঁচকে যাওয়া থেকে বাঁচায়। আনারস টাটকা খাওয়াই ভালো।
  • ৭. আনারস জ্বরের ও জন্ডিস রোগের জন্য বেশ উপকারী।
  • ৮. দেহের তৈলাক্ত ত্বক, ব্রণসহ সব রূপলাবণ্যে আনারসের যথেষ্ট কদর রয়েছে।
মোট কথা, দেহের পুষ্টি সাধন এবং দেহকে সুস্থ-সবল ও নিরাময় রাখার জন্য আনারসকে একটি অতুলনীয় এবং কার্যকরী ফল বলা চলে। সব শেষে একটু ভিন্ন মাত্রায় এনে শেষ করি তা হচ্ছে
খাবারে রঙের ভুমিকা  যেমন:
হলুদ ও কমলা ফলমূল ও শাকসবজিতে থাকে বিটা ক্যারোটিন নামক রঞ্জক পদার্থ যা চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়। চামড়ায় বলিরেখা পড়া রোধ করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, ক্যান্সার ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যারা ক্যারোটিনয়েড সমৃদ্ধ ফলমূল ও শাকসবজি খেয়ে থাকেন তাদের বয়স সমন্ধীয় ও চোখের সমস্যা ৪৩% কমে যায় এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি ৩৬% কমে যায়। কমলা রঙ হলো আনন্দ ও সুখের প্রতীক । কমলা রঙের ফলমূল ও শাকসবজি মানসিক স্বাস্থ্যেও প্রবাব ফেলে যেমন মানসিক প্রশান্তি আনে। অন্যদিকে হলুদ হলো মনের ও বুদ্ধির রঙ। হলুদ ফলমূল ও শাকসবজি এর মাধ্যমে আমরা বিষন্নতা, বাজে চিন্তা ও অভ্যাস থেকে মুক্তি পেতে পারি। নিজেকে নিয়ন্ত্রণেও হলুদ ফলমূল ও শাকসবজি ব্যাপক ভূমিকা রাখে।

♦♦♦আমলকী কেন খাবেন?♦♦♦

66327_1634626223403_1169107155_31784744_6134361_n[1]
এদেশের রাস্তাঘাটে যত্রতত্র পাওয়া যাওয়া এই ফল আজো অল্প টাকায় এই এত্ত গুলো মেলে। ১০ টাকায় এক ঠোঙ্গা মেলে বলেই অনেকে ভেবে থাকেন, আমলকী কেন খাবো? কি আছে আমলকীতে? আসুন তবে জেনে নেই ফেলনা ভেবে দূরে ঠেলে দেয়া আমলকী আসলে কেন খাবেন আপনি-
◘ ভিটামিন সি’সমৃদ্ধ আমলকীতে প্রচুর পরিমাণে এ্যান্টি অক্সিদেনট রয়েছে, যা ফ্রি র‍্যাডিকেলস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। বুড়িয়ে যাওয়া ও সেল ডিজেনারেশনের অন্যতম কারণ এই ফ্রি র‍্যাডিকালস। সুতরাং এক কথায়, আমলকী আপনাকে সহায়তা করে তারুণ্য ধরে রাখতে।
◘ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং মানসিক চাপ কমায়।
◘ বমি, কফ, অনিদ্রা, ব্যথা-বেদনায় আমলকী অনেক উপকারী।
◘ আমলকী ত্বক, চুল ও চোখ ভাল রাখার জন্য অত্যন্ত উপকারী। এতে রয়েছে ফাইটো-কেমিক্যাল যা চোখের সঙ্গে জড়িও ডিজেনারেশন প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
◘ আমলকী হজমে সাহায্য করে ও স্টমাক এ্যাসিডে ভারসাম্য বজার রাখে।
◘ আমলকী আয়রনে ভরপুর। আর সে জন্যই শরীরে নতুন রক্ত তৈরি করার পক্ষে উপযুক্ত।
◘ কৃত্রিম ভিটামিন ‘সি’ না খেয়ে সরাসরি টাটকা বা শুকনো আমলকী খেলে ভালো ফল পাওয়া যাবে।
◘ আমলকী দিয়ে মোরব্বাও তৈরি করা যায়। এটি পায়খানা পরিষ্কার করে।
◘ আমলকী লিভার ভালও রাখতে সহায়তা করে, ব্রেনের কার্যকলাপে সাহায্য করে ফলে মানসিক ফাংশন ভালো হয়।
◘ আমলকী রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রেখে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। কোলেস্টেরল লেভেলেও কম রাখতে যথেষ্ট সাহায্য করে।
◘ হার্ট সুস্থ রাখে ও ফুসফুসকে শক্তিশালী করে তোলে।
◘ শরীর ঠান্ডা রাখে, শরীরের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে, মাংস পেশী মজবুত করে।
◘ লোহিত রক্তকণিকার সংখ্যা বাড়িয়ে তুলে দাঁত ও নখ ভালো রাখে।
◘ জ্বর, বদহজম, সানবার্ন, সানস্ট্রোক থেকে রক্ষা করে।
◘ আমলকীর রস দৃষ্টি শক্তি ভাল রাখার জন্য উপকারী। ছানি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। ব্রণ ও ত্বকের অন্যান্য সমস্যায় উপকারী।
◘ পেটের জ্বালা জ্বালাভাব কম রাখে। পাইলস সমস্যা কমায়।
◘ শরীরের অপ্রয়োজনীয় ফ্যাট ঝরাতে সাহায্য করে। ব্রঙ্কাইটিস ও এ্যাজমার জন্য আমলকীর জুস উপকারী।
◘ আমলকী গুঁড়োর সঙ্গে সামান্য মধু ও মাখন মিশিয়ে খাওয়ার আগে থেকে পারেন। খিদে বাড়াতে সাহায্য করে।
◘ এক গ্লাস দুধ বা পানির মধ্যে আমলকী গুঁড়ো ও সামান্য চিনি মিশিয়ে দিনে দু’বার খেতে পারেন। এ্যাসিডেটির সমস্যা কম রাখতে সাহায্য করবে।
◘ শুকনো আমলকী চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধি করে।
◘ খাবারের সঙ্গে আমলকীর আচার খেতে পারেন। হজমে সাহায্য করবে।
◘ আমলকী অরুচি দূর করতে, বমি ভাব কমাতে খুব কাজে লাগে। এছাড়াও তাজা আমলকী চিবিয়ে খেলে ক্ষুধামন্দা দূর হয়।
◘ টাটকা আমলকীর রস সকালে উঠে খেলে শরীর পুষ্ট হয় ও শরীরের ভেতর ফুর্তি ভাব জাগায়। শরীরে ঠান্ডা প্রভাব বিস্তার করে।
◘◘ আমলকী খাওয়ার নিয়ম-
কাঁচা খাওয়াই সবচেয়ে ভালো। তবে শুকিয়ে এবং আচার বানিয়ে সংরক্ষণ করে খেতে পারেন।
◘◘◘ সতর্কতা-
কিডনি রোগীদের খেতে বাধা আছে। তবে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খেতে পারবেন।
◘◘ সংরক্ষণ-
আমলকীতে সামান্য লবণ, লেবুর রস মাখিয়ে রোদে রাখুন। শুকিয়ে যাওয়ার পর খেতে পারেন। সমান উপকারী, তবে স্বাদে অনেক মজাদার।
*আমলকী মাঝারি আকারে টুকরো করে নিয়ে ফুটন্ত পানির মধ্যে দিন। আমলকী নরম হয়ে তরে নামিয়ে ঝরিয়ে লবণ, আদা কুঁচি, লেবুর রস মাখিয়ে রোদে রেখে দিতে পারেন। সারা বছরই ভাল থাকবে। এই
সংরক্ষিত।
আমলকীর পুষ্টি -গুণ
আমলকীর গুন
আমলকী আমাদের দেশের একটি অতি পরিচিত, সহজপ্রাপ্য ও সহজলভ্য ফল। বাংলাদেশের প্রায় সকল স্থানেই কম-বেশী আমলকী জন্মে থাকে।
অত্যাধিক পরিমানে ভিটামিন সি থাকার কারনে আমলকীকে ভিটামিন সি -এর রাজা বা KING of Vitamin-C বলা হয়। চলুন, এবার আমলকীর পুষ্টি ও ঔষধি গুন সন্মন্ধে জেনে নেয়া যাক। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় আমলকী গ্রহণ করলে মানবদেহের জন্য নিম্নলিখিত উপকার হয়ে থাকে। যেমনঃ
⊱ প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি থাকায় নিয়মিত ২/১টি করে আমলকী খেলে ভিটামিন সি এর অভাবজনিত রোগ থেকে মুক্ত থাকা যায় এবং দেহের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। ⊱ আমলকী চুলের টনিক হিসেবে কাজ করে এবং চুলের যত্ন নেওয়ার জন্য এটি একটি অপরিহার্য উপাদান। ⊱ আমলকী খেলে শুধু চুলের গোড়াই শক্ত হয় না, চুল দ্রুত বড় হতেও তা সাহায্য করে। ⊱ এছাড়া খুশকিমুক্ত ও কম বয়সে চুল পাকা রোধে আমলকী বিশেষ ভূমিকা পালন করে। ⊱ নিয়মিত ২/১টি করে আমলকী খেলে পেটের আলসার দূরীভূত হয়। ⊱ আমলকীর রস কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে পাইলস রোগ থেকে মুক্তি দেয়। ⊱ এছাড়া অন্ত্রের রোগ নিরাময় ও ক্রনিক কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে এটি সহায়ক। ⊱ খাওয়ার আগে মাখন ও মধুর সঙ্গে আমলকীর গুঁড়া মিশিয়ে খেলে ক্ষুধামন্দা দূর হয়। ⊱ প্রতিদিন সকালে মধুর সঙ্গে আমলকীর রস মিশিয়ে খেলে চর্মরোগ নিরাময় হয়, ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায় ও মুখের চামড়ায় কোনো দাগ পড়ে না। ⊱ চোখের জ্যোতি বৃদ্ধিতে আমলকী খুবই উপকারী। এছাড়া চোখ লাল হওয়া, চুলকানো ও চোখ দিয়ে পানি পড়া রোধেও আমলকী বিশেষ ভূমিকা পালন করে। ⊱ আমলকী হৃদপিণ্ডের পেশি শক্তিশালী করে ও হূদযন্ত্রের সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে। ⊱ এছাড়া প্রতিদিন আমলকীর রস খেলে নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ রোধে তা সহায়তা করে ও দাঁতকে শক্তিশালী করে।
Collected from “সবার জানা উচিত”(স্বাস্থ্য সম্পর্কিত) ফেসবুক পেজ ও অন্যান্য ওয়েবসাইট

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

প্রিন্ট পি ডি এফ

Print Friendly Version of this pagePrint Get a PDF version of this webpagePDF
“ডাক তোমার প্রভূর পথে প্রজ্ঞা এবং সদুপদেশের মাধ্যমে এবং তাদের সাথে বিতর্ক কর সর্বত্তোম পন্থায়” (সূরা নাহলঃ১২৫)