Bismillah

Bismillah

বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর, ২০১৪

মধু চাষে সাফল্য

কমলগঞ্জে মধু চাষে সাফল্য
আব্দুর রাজ্জাক রাজা, কমলগঞ্জ থেকে

প্রকাশ : ২৫ নভেম্বর, ২০১৪

কমলগঞ্জে দীর্ঘকাল ধরে দৃষ্টির অন্তরালে থেকে মধু চাষে অনেকেই সাফল্যের স্বপ্ন দেখছেন। স্বল্পপুঁজি খাটিয়ে মধু চাষাবাদ করে বেকারত্ব দূরীকরণ ও আয়ের একটি সহজ পথ হিসেবে বেছে নেয়া হয়েছে। উপজেলার আদমপুর ও ইসলামপুর ইউনিয়নের প্রায় ২৫০ জন লোক মধু চাষাবাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছেন। সম্প্রতি এসব এলাকা ঘুরে এ চিত্র পাওয়া গেছে।
জানা যায়, ঔষধি গুণাগুণসম্পন্ন প্রাকৃতিক উপায়ে উৎপাদিত মধু চাষাবাদে অনেকেই আগ্রহ প্রকাশ করছেন।
এক-একটি বাক্স তৈরি করে বছরে তিন থেকে চারবার মধু সংগ্রহ করা যায়। বাজারেও রয়েছে এই মধুর যথেষ্ট চাহিদা। কমলগঞ্জ উপজেলার প্রথম মধু চাষী কাঁঠালকান্দি গ্রামের আজাদ মিয়া বলেন, মৌমাছি মৌমাছি কোথায় যাও নাচি নাচি কবিতার এ চরণকে মনে রেখেই ১৯৯৮ সাল থেকে মধু চাষাবাদ শুরু করেন। পাহাড় থেকে রানী মৌমাছি সংগ্রহ করলে এর সঙ্গে হাজারো মৌমাছি চলে আসে। এরপর তাদের একটি বাক্সে রেখে দিলেই চলে। এক-একটা বাক্সে বছরে চারবারে ৩০ থেকে ৪০ কেজি মধু সংগ্রহ করা যায়। বাজারে প্রতি কেজি মধুর দাম ৭শ টাকা হিসাবে বছরে প্রায় ৪০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব। আজাদ মিয়া আরও বলেন, তিনি এখন সম্পূর্ণ মধু চাষের ওপর নির্ভরশীল। বর্তমানে তার ১০টি বাক্সে মধু চাষাবাদ চলছে।
এই ১০টি বাক্স ছাড়াও পাহাড় থেকে মৌমাছি ও বিভিন্ন ব্যক্তির বাক্স থেকে মধু সংগ্রহ করে বছরে তিন থেকে চার লাখ টাকা আয় হয়। তিনি বলেন, মধু চাষাবাদের চেয়ে উন্নতমানের আর কোনো চাষাবাদ নেই। মধু চাষাবাদে শুরুতে শুধু একটি বাক্সে মৌমাছি সংগ্রহে ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা খরচ হয়। এ ছাড়া আর কোনো খরচ পড়ে না। এভাবে উৎসাহ উদ্দীপনা সৃষ্টি হওয়ায় ক্রমান্বয়ে মধু চাষীর পরিধি বিস্তৃত হচ্ছে।
উৎস : যুগান্তর ২৫ নভেম্বর, ২০১৪


চলনবিলে ২০ কোটি টাকার মধু উৎপাদনের সম্ভাবনা

JANUARY 30, 2014 চলনবিলের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া হাটিকুমরুল-বনপাড়া বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতু সংযোগ মহাসড়কের দুই ধারে এখন হলুদবরণ মাঠ। দিগন্তজুড়ে সরিষা ফুলের হলুদ রং।ক্ষেতের আলে আলে এখন সারি সারি মৌমাছির মৌবাক্স। ঝাঁকে ঝাঁকে মৌমাছি উড়ে গিয়ে সরিষা ফুলে বসছে। কিছুক্ষণ পরপর আবার বাক্সে ফিরছে মধু নিয়ে। চলনবিলজুড়ে চলছে সরিষা ফুলের মধু সংগ্রহের উৎসব আমেজ। চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চলনবিল থেকে প্রায় এক হাজার ২০০ থেকে এক হাজার ৫০০ টন মধু সংগৃহীত হতে পারে। যার বাজার দাম প্রায় ২০ কোটি টাকা হবে বলে মৌচাষিরা আশা করছেন। চলনবিল শুধু মাছের বিলই নয়। এখন মধুরও বিল। মধু উৎপাদনে চলনবিলে এ এক নতুন সম্ভাবনার দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে।উত্তরাঞ্চল মৌচাষি সমবায় সমিতির সভাপতি চাঁন মিয়া জানান, এবার চলনবিলে ২৫০ জন মৌচাষি তাদের প্রায় ২২ হাজার মৌবাক্স নিয়ে মাঠে রয়েছেন। প্রতি সপ্তাহে মধু সংগ্রহের পরিমাণ প্রায় এক লাখ কেজি। পাবনা মৌচাষি সমবায় সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম মধু জানান, বর্তমানে মধু প্রতি কেজি ২০০ থেকে আড়াইশ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ঢাকার কয়েকটি প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি চলনবিলের মধু কেনা শুরু করেছে। সিরাজগঞ্জ মৌচাষি সমবায় সমিতির সভাপতি আহাদ আলী জানান, চলনবিলে এভাবে ছয় থেকে সাত সপ্তাহ সরিষা ক্ষেত থেকে মধু সংগ্রহ করা হবে।চাটমোহর উপজেলার মৌচাষি আসলাম শিকদার ১২০টি মৌবাক্স নিয়ে চলনবিলে মধু সংগ্রহ করছেন। তিনি জানান, এ বাক্সে সপ্তাহে প্রায় ৪০০ কেজি মধু সংগ্রহ করছেন। তিনি আরো বলেন, যার যত মৌবাক্স, তিনি ততবেশি মধু সংগ্রহ করছেন। এবার আগাম ও নাবী জাতের সরষে আবাদ হওয়ায় মৌচাষিরা দুই থেকে আড়াই মাস মধু সংগ্রহ করতে পারবেন।উৎস : ইন্টানেট JANUARY 30, 2014

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

প্রিন্ট পি ডি এফ

Print Friendly Version of this pagePrint Get a PDF version of this webpagePDF
“ডাক তোমার প্রভূর পথে প্রজ্ঞা এবং সদুপদেশের মাধ্যমে এবং তাদের সাথে বিতর্ক কর সর্বত্তোম পন্থায়” (সূরা নাহলঃ১২৫)